অতীত আলোকে সংলাপের আদৌ প্রয়োজন আছে কি?
মোনায়েম সরকার
সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও সংলাপ- এই তিনটি শব্দ আজ বিশ্বব্যাপী আলোচিত হচ্ছে, এই তিনটি শব্দই জনপ্রিয় ও মুখরোচক করেছে বিশ্বের ভয়াবহ সন্ত্রাসী সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আমেরিকা, দুই দুইটি বিশ্বযুদ্ধে তাদের গায়ে কোনো স্পর্শ লাগেনি, বর্তমানে মধ ্যপ্রাচ্যে যে সন্ত্রাস চলছে তার ফলে ইউরোপের দেশে দেশে সৃষ্টি হয়েছে মানবিক সঙ্কট। ইউরোপ বর্তমানে অশান্তির আগুনে দগ্ধ হলেও আমেরিকা কিন্তু নিরাপদ ও সুষ্ঠুই আছে। আমেরিকা সারাবিশ্বে সন্ত্রাস ও দুর্নীতি ছড়িয়ে সংলাপ নামের দাওয়াই ফেরি করে বেড়াচ্ছে। তারা নিজেরাই সঙ্কট সৃষ্টি করে আবার নিজেরাই সংলাপের কথা বলে। দেশে দেশে তাদের এজেন্টও নিয়োগ করা আছে। যেই দেশে যখন যা প্রয়োজন তখন সেই দেশের এজেন্টরা সেই ভাবেই জনগণকে দাওয়াই দেয়ার চেষ্টা করে। বর্তমানে বাংলাদেশে চলছে সংলাপের দাওয়াই। সন্ত্রাস আর দুর্নীতির বিষয়ে সরকারবিরোধীরা কথা তো বলছেই- সেই সঙ্গে সংলাপের ব্যাপারেও নছিয়ত করছেন। কিন্তু কেন সংলাপ, কার সাথে সংলাপ, কার স্বার্থে সংলাপ সে বিষয়ে কেউই কোনো পরিষ্কার রূপরেখা দিতে পারছে না। সবাই শুধু বলছেন এই মুহূর্তে সংলাপের বিকল্প নেই।
আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, কমনওয়েলথের প্রতিনিধি স্যার নিনিয়ানের সংলাপের কথা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল ও বিএনপি মহাসচিব আবদুল মান্নান ভুঁইয়ার সাহেবের সংলাপের কথা। দীর্ঘদিন সংলাপ চলার পরেও সেই সংলাপের ফলাফল ছিল শূন্য। জেনাবেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ যখন হ্যাঁ-না ভোট দিয়ে ক্ষমতায় গেলেন, তখন কিন্তু কেউ সংলাপের কথা বলেননি। এমনকি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারি যে নির্বাচন হয়েছিল সেই নির্বাচনের আগে ও পরে কেউ সংলাপ নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তাহলে এখন কেন সংলাপের প্রশ্ন? যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল এবং যারা সপ্তম নৌ-বহর পাঠিয়েছিল আজ তারাই সংলাপ করার কথা বলছে এবং সে সব কথা সভা-সেমিনার করে বলে বেড়াচ্ছেন এদেশে নিযুক্ত মার্কিন এজেন্টরা।
সামরিক শাসক আইয়ুব খান প্রবর্তিত হ্যাঁ-না ভোট বাংলাদেশে চালু করেন জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ। এ প্রসঙ্গে একটি সত্য গল্প মনে পড়েছে। আমার স্কুল জীবনের বন্ধু নাজমুল আলম এক সময় কিশোরগঞ্জে এসডিও (সাব-ডিভিশন অফিসার) ছিলেন। প্রাসঙ্গিক বলে সেই গল্পটা পাঠকের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। নাজমুল বলেন, একদিন ডিসি সাহেব তাদের সবাইকে ডেকে বলেন, নির্বাচন করতে হবে, কিভাবে করবেন আপনারাই সিদ্ধান্ত দেন। তবে ভোট যেন ৮৫ শতাংশের বেশি না পড়ে। তখন একজন এসডিও বললেন, স্যার এটা কোনো ব্যাপার না- প্রতি কেন্দ্রে একশটি বোরকা হলেই ভোট অনুষ্ঠান করা সম্ভব। তখন বোরকা পরে ভোট কেন্দ্রে ভোট হলো এবং ফলাফল দেখা গেল কোনো কোনো কেন্দ্রে একশ পাঁচ শতাংশ ভোট পড়েছে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা সচিব প্রতি মহকুমার জন্য ১ লক্ষ টাকা করে জেলা প্রশাসক সাহেবকে দিয়েছিলেন জেনারেল জিয়ার আমলে হ্যাঁ-না ভোটের মহড়া দেয়ার জন্য। আমার বন্ধু প্রতি থানায় নির্বাচন শেষে ষাট হাজার টাকা নিয়ে জেলা প্রশাসক সাহেবের কাছে যান। জেলা প্রশাসক সাহেব বললেন, এই টাকা বস্তায় করে এসেছে, কোনো কাগজপত্র তো নেই। তোমার টাকা কি করে ফেরত নেবো। সুষ্ঠু নির্বাচন আর কাকে বলে! এটি কিন্তু জিয়া সাহেবের আমলের ঘটনা। এখন যদি খালেদা জিয়া সংলাপ চান তাহলে আর কি বলার থাকতে পারে?
স্বাধীন বাংলাদেশে পঁচাত্তরের পরে যে দুটি রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল সেগুলো ছিল কৃত্রিমভাবে প্রতিষ্ঠিত দল। ক্ষমতায় আসীন থাকাকালে জেনারেল জিয়া প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিএনপি ১৯-দফার ভিত্তিতে আর পরবর্তীকালে জেনারেল এরশাদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জাতীয় পার্টি ১৮-দফার ভিত্তিতে। যারা ১৯ ও ১৮-দফার সমর্থক ছিল কেবল তারাই নির্বাচিত হয়েছি। বিএনপি মূলত রাজাকার, আলবদর, আল শামস, ন্যাপ, বামপন্থী সুবিধাবাদীদের নিয়ে গঠিত ওরস্যালাইন পার্টি। ক্যান্টনমেন্টের অন্ধকার কুঠুরিতে জন্ম নেয়া এই দলটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পায়ে কুড়ালের প্রথম কোপটি মারে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস যারা জানেন, তারা নিশ্চয়ই মনে করতে পারেন পঁচাত্তর পরবর্তী জিয়া সরকার ছিল অবৈধ। এই অবৈধ জিয়া সরকার সারাদেশে সৃষ্টি করেন এক দুর্বিষহ আতঙ্ক। তার সীমাহীন নির্যাতনে জেলখানা ভরে যায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী দ্বারা। কেউ কেউ চলে যান আন্ডার গ্রাউন্ডে। আন্ডার গ্রাউন্ডেও যখন সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়, তখন তারা বাধ্য হয় হাতের মুঠোয় জীবন নিয়ে দেশ ত্যাগ করতে। জিয়ার শাসনামলে প্রতি রাতে দেশে ‘কারফিউ’ থাকতো। জনজীবন ছিল চরম অনিরাপত্তার ভেতর। সংবিধানের ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে জিয়া বাংলাদেশে যে কালো আইন তৈরি এবং মুজিব হত্যাকাণ্ডের বৈধতা দান করে ঘাতকদের পুরস্কৃত করে তাতেই কি জিয়ার নির্দয় একনায়কের পরিচয় বহন করে না?
জিয়ার পরে আসে আরেক গণতন্ত্রহত্যাকারী জেনারেল এরশাদ। এরশাদও আওয়ামী লীগের নেতৃকর্মীদের ওপর ভয়ঙ্কর নির্যাতন চালায়। কেননা এরশাদ তো প্রকারান্তরে জিয়ারই ভাবশিষ্য। গুরু প্রদর্শিত পথই তো শিষ্যের জন্য অনুসরণীয়। তাই আওয়ামী লীগকে নির্যাতন করতে জিয়া ও বিএনপি যা যা করেছেÑ এরশাদ আর জাতীয় পার্টিও তা-ই করেছে। বরং এরশাদের নির্যাতন কোথাও কোথাও জিয়াকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে জনগণের প্রিয় পার্টি আওয়ামী লীগ ২৮৮টি আসন পায়, ভোট পায় ৮৯ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ পায় ২৯৩টি আসন, ভোট পায় ৭৩ দশমিক ২০ শতাংশ। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে জেনারেল জিয়া প্রতিষ্ঠিত বিএনপি পায় ২০৭টি আসন এবং ৪১ দশশিক ১৬ শতাংশ ভোট আর আওয়ামী লীগ পায় মাত্র ৩৯টি আসন, ২৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোট।
১৯৮৬ সালে স্বৈরশাসক এরশাদের শাসনামলে যে নির্বাচন হয় সেই নির্বাচন বিএনপি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সরে দাঁড়ায় এবং খালেদা জিয়া তথাকথিত আপসহীন নেত্রীতে পরিণত হন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়কে ঠেকাতে ৪৮ ঘন্টা মিডিয়া ক্যু করে জাতীয় পার্টি নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেয়। এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি পায় ১৫৩টি আসন, ভোট পায় ৪২ দশমিক ১৫ শতাংশ। মিডিয়া ক্যু না হলে নির্বাচনের ফলাফল আওয়ামী লীগের পক্ষেই যেতো। ১৯৮৮ সালে আবার এরশাদের অধীনে নীল নকশার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কেউই অংশ নেয়নি। এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ২৫১টি আসন, ভোট পায় ৬৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ, ফ্রিডম পার্টি তথা কিলার পার্টি পায় ২টি আসন আর আ স ম আবদুর রব ৭০-৭২ পার্টির জোট পায় ১৯টি আসন পেয়ে বিরোধী দলীয় নেতা হন।
এরপর ১৯৯১ সালে সর্বদলীয় রাজনৈতিক পার্টির অংশগ্রহণের মাধ্যমে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাতে বিএনপি পায় ১৪০টি আসন, আওয়ামী লীগ ৮৮টি আসন এবং জাতীয় পার্টি পায় ৩৫টি আসন। এই নির্বাচনের ভোটের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় বিএনপির বাক্সে পড়ে ৩০ দশমিক ৮১ শতাংশ ভোট আর আওয়ামী লীগ পায় ৩৩ শতাংশ ভোট, জাতীয় পার্টি পায় ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ ভোট। জামায়াত পায় ১৮টি আসন। জামায়াত-বিএনপির সিট এলাইন্সের ফলে বিএনপি ১৯৯১ সালে অপ্রত্যাশিতভাবে সরকার গঠন করে।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারি আবার এসে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়ে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নিজের অধীনে আয়োজন করে ষড়যন্ত্রের নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিএনপি পায় ২৭৮টি আসন, ফ্রিডম পার্টি পায় ১টি এবং স্বতন্ত্র পার্টি পায় ১০টি আসন। কিন্তু খালেদা জিয়া গণ-আন্দোলনের মুখে শেষ রক্ষা করতে পারলেন না। ১৯৯৬ সালের জুন মাসে তিনি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে বাধ্য হন। খালেদা জিয়া পূর্বে বলেছিলেন শিশু আর পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় নয়।
এই নির্বাচনেই আওয়ামী লীগ ১৪৬টি আসন এবং ৩৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়ে একুশ বছর পরে অর্থাৎ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরে ক্ষমতায় আসীন হয়। ২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গে সিট ভাগাভাগি করে জয়লাভ করে, বিএনপি আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার নানামুখী ষড়যন্ত্র করে, রাজাকারদের মন্ত্রী বানায়, বাংলা ভাই সৃষ্টি করে এবং দেশজুড়ে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটায়। বিএনপির রক্তলোলুপ চক্রান্তে নিহত হয় আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মী। শেখ হাসিনাও বহুবার মৃত্যু ঝুঁকি থেকে বেঁচে যান। এর মধ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার কথা সবচেয়ে নির্মম আর মর্মান্তিক।
বিএনপি ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে যেমন ক্ষমতা ছাড়তে চায়নি তেমনি ২০০১ সালে ক্ষমতা পেয়েও তারা মেয়াদ পূর্ণ করে ক্ষমতা ছাড়তে টালবাহনা শুরু করে। এরপর আবির্ভূত হয় আর্মি সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তারাও দুই বছর গণতন্ত্রকে জিম্মি করে রাখে। চেষ্টা চালাতে থাকে দুই নেত্রীকে মূলত শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার। কিন্তু গণ-আন্দোলনের মুখে তারাও বাধ্য হয় ২০০৮ সালে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার কাজে মনোনিবেশ করে। দেশে এখন সেই ধারাই অব্যাহত আছে। উপরের বিশ্লেষণ থেকে একটি বিষয় প্রতীয়মান হয়েছে যে, যখনই বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে তখনই আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে। এ ধারা ১৯৭০ থেকে শুরু হয়ে ২০১৪ পর্যন্ত বিদ্যমান। আওয়ামী লীগ যেন সত্যি এক বহতা নদী মত, যার গতি কখনোই রোধ করা সম্ভব নয়।
একটি কথা মনে রাখা দরকারÑ জেনারেল জিয়া, জেনারেল এরশাদ এবং খালেদা জিয়া সকলেই চক্রান্ত করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। সকলেই নানাপ্রকার চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগকে তথা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চেয়েছেন। আজ এদের পক্ষে কথা বলা মানে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কথা বলা, গণতন্ত্রের বিপক্ষেই কথা বলা। দেশে অনেক জঞ্জাল জমেছে। বাংলাদেশ থেকে সেই জঞ্জাল পরিষ্কার করতে হলে গণতন্ত্রের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে সময় ও সমর্থন দেওয়া দরকার। বাংলাদেশে সংলাপ করার মতো কোনো পরিস্থিতি এখন আর নেই। সংলাপ-সংলাপ চিৎকার করে কোনো ফল হবে না। গণতন্ত্রের পথ ধরে বর্তমান বাংলাদেশ চলছে, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথেই চলুক। নীতিহীন নেতাদের কথায় এখন বাংলাদেশের মানুষকে ভুললে চলবে না, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের হাতেই থাকুক, আশা করি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ সে সুযোগ আওয়ামী লীগকে দেবে। আওয়ামী লীগ ও তার সরকার আরো সুস্থ, সুন্দর ও দুর্নীতি মুক্ত হলে বাংলাদেশের জনগণ খুশি হবেন। সংলাপ করে কি ঢাকার গুলশানের হলি রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলা ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা কি থামানো যেত? এই যখন দেশের অবস্থা সেখানে সংলাপের পরিবেশ কোথায়? কার সঙ্গে, কোথায় এবং কেন সংলাপ করতে হবে?
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এবং বাধা মোকাবেলা করে সরকারকে এগোতে হচ্ছে। দেশের ভেতরে গড়ে ওঠা একটা সিন্ডিকেট বিভিন্ন পরিচয়ের আড়ালে সরকারের উন্নয়নে শুধু বাধাই দিচ্ছে না, একই সঙ্গে দেশকে ঠেলে দিচ্ছে এক অন্ধকারে। যে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে আফগানিস্তান, ইরাক, পাকিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়া, লেবানন ও মিশর। আসলে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা ও যুদ্ধাপরাধীদের মদদে আমাদের দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গি হামলা অব্যাহত রয়েছে দেশি-বিদেশিদের চক্রান্তে। বিদেশিদের আনাগোনা কি বাংলাদেশকে সেই সব দেশের পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায়?
১৩ জুলাই, ২০১৬